যে আমেরিকায় জন্মেছে সে আমেরিকান হয়ে গর্ববোধ
করে, আফ্রিকায়
যে জন্মেছে তার কাছে
তার দেশ সেরা। আমরা বাংলাদেশী... তাই বাংলাদেশ সেরা...
ব্যাপারটা কী আসলেই তাই ?
বাঙালি হয়ে কেন গর্বে মাথা নত হয়ে উঠে আমার মনে হয় এই ব্যাপারে একটা পরিষ্কার ধারণা থাকা দরকার।
পশ্চিমাদের সাথে যদি আমাদের তুলনা করি আমরা অনেক অশিক্ষিত এবং খ্যাত। আমরা ইংরেজি ভুল করলে খ্যাত মনে করি ; আর ইংরেজরা ভুল বাংলা বললে কিউট লাগে...
আমরা যদি বেশির ভাগ বাঙ্গালির কথা ধরি তাহলে আমাদের রূচিবোধ খ্যাত , ব্যক্তিত্বও খ্যাত। আমরা চেয়ারে বসে হাগু করা শিখছি কয়েকদিন আগে...
স্লাশ , 'স্টিভ ভাই' এর মত গীটারিস্ট এই দেশে জন্মে নি।
আমাদের হিরো হয় শাকিব খান। ফুটবলে আগামী একশ বছরে আমাদের বিশ্বকাপে যাবার সম্ভাবনা নেই। আমরা চ্যাম্পিয়ান হই দুর্নীতিতে।
আমরা পোশাকে ফলো করি পশ্চিমাদের। আমাদের জাতীয় পোশাক লুঙ্গি জিনিসটাকে আমার নিজের কাছেই মেয়েদের পেটিকোটের মত লাগে
মিউজিকে তারা বেস্ট... মুভিতে বেস্ট... তারা বিজ্ঞানী , তারা মহাকাশ... তারা নাসা... তারা শত শত নোবেল জয়ী ; তারপরেও আমরা সেরা ?? কেন সেরা ??
একটু খুলে বলা দরকার...
পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৭০০০ ভাষায় কথা বলে। একমাত্র বাঙালি তার ভাষার জন্য রক্ত দিল... আর কেউ নেই... এখানে দ্বিতীয় তৃতীয় বলে কেউ নেই।
বাঙালির আবেগ একটু অন্যরকম... এরা ক্ষেপলে আগ পিছ ভাবে না... মিলিটারির কামানের সাথে লুঙ্গি কচলাইয়া বাঁশ নিয়া জেতা যায়না। এইসব যুক্তির বয়ান বাঙালি শোনে না...
এদের জেদ উঠছে... এটাই আসল কথা।
এরা যুদ্ধকে শুধু বুলেট মনে করে না। ফুল মনে করে। পাগলা গুলা যুদ্ধের ময়দানে মাথা ঝাকাতে ঝাকাতে গানের আসর দেয়... 'একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি'
আপনি এইসব গল্প আর কোথাও পাবেন না।
সারা পৃথিবী যখন পশ্চিমাদের এগিয়ে রাখে তখন দেখা যাক তাদের কিছু পরিসংখ্যান......
জার্মানিতে ভাই বোনের বিয়ে সামাজিক ভাবে বৈধ হতে যাচ্ছে...
শুধু মাত্র ইতালিতেই প্রতি বছর প্রায় ৬০ হাজার দম্পতি তাদের স্বামী স্ত্রীকে পরস্পরের সাথে বদল করে।
ফ্রান্স, আমেরিকা , ইংল্যান্ড সহ আরও অনেক দেশেই নাইট ক্লাবে স্ত্রী বদল করা হয়। যেটা মধ্যযুগের ক্রীতদাস প্রথাকেও হার মানায়।
ইউরোপের ৭৫ ভাগ বিয়েই ডিভোর্সে রূপ নিচ্ছে...
মেয়েদের অধিকার নিয়ে সব থেকে বেশি যে দেশটা কথা বলে সেই আমেরিকায় প্রতি ৪৫ সেকেন্ডে একজন নারী ধর্ষিত হয়।
তারা মানসিক ভাবে বিকৃত। রাষ্ট্রীয় ভাবে সমকামীদের বিয়ে হচ্ছে।
তারা এমন একটা অবস্থায় পৌঁছেছে যে তারা এখন মানসিক রোগকে মানসিক রোগ মনে করছে না।
অর্থাৎ তাদের মনোবিজ্ঞানীরাও মানসিক রোগে আক্রান্ত।
আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল এসোসিয়েশন সমকামীদের পক্ষে
.........কেউ কেউ ডারউইনকে নিয়ে এসে প্যাঁচাল মারে। কোথাকার শিম্পাঞ্জি , পেঙ্গুইনের ভেতরেও সমকামীর প্রবণতা দেখা যায়... কাজেই ব্যাপারটা প্রাকৃতিক...
ইয়েস ! আমরা আগে জঙ্গল মানুষ ছিলাম... ধীরে ধীরে সভ্য হয়েছি... মানুষ হয়েছি... তারা এখন আবার মানুষ থেকে পশুর দিকে যাচ্ছে...
বড় বড় অফিসে চশমা লাগিয়ে সাদা চামড়ার যে মানুষ গুলাকে সভ্য মনে হইতেছে এরা অফিস করতে এলে নারী সহকর্মীকে যৌন ভাবে হয়রানী করে...
ইংল্যান্ডে প্রায় পঞ্চাশ ভাগ নারী এখনো অফিস করতে গিয়ে সহকর্মীর কাছ থেকে যৌন হয়রানীর স্বীকার। এর চাইতে আমার উদাম গায়ের চাষারাই ভাল আছে...
এরা বৃষ্টি রাতে ছেলে মেয়ে নিয়ে আকাশ দেখে। প্রবল জোয়ারে মন আনচান করে উঠে... বেকার যুবকের রেস্তরাঁর বিলের টাকা নেই।
তবু ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার্কের বেঞ্চে টচ লাইট জ্বালিয়ে স্বপ্ন দেখে... অনেক কষ্টে কেনা প্রিয়তামার সস্তা শাড়ির দাম ডলারে হিসেব করলে হবে না...
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আবেগ গুলো আমরাই জন্ম দেই...
আমাদের পয়ত্রিশ বছরের দামড়াও বাবা সামনে এলে সিগারেট ফেলে দেয়। নাম করা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কোন যুবককে তার গরীব মা সকাল বিকাল থাপড়ায়...
বোনের বিয়ে দিলে যেভাবে হাউমাউ করে আমরা কাঁদি ; এইভাবে পৃথিবীর আর কেউ কাঁদে না।
আমাদের আবাগের বহিঃপ্রকাশ একদম আমাদের মত...
'প্রাউড টু বি এ বাংলাদেশি'...
No comments:
Post a Comment