সম্প্রতি অনুষ্ঠেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের
চারুকলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ৭৬ নং প্রশ্নটি ছিল -পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ
গ্রন্থ কোনটি?
যাতে অপশন ছিল (ক)পবিত্র কোরান শরীফ(খ) পবিত্র ইঞ্জিল শরীফ (গ) গীতা (ঘ)পবিত্র বাইবেল
। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোনটি এই "মহা গুরুত্বপূর্ণ' প্রশ্নের উত্তর জেনে
চারুকলার ছেলেদের লাভ কি? আর কোন গ্রন্থটি শ্রেষ্ঠ তা বিচার করার মাপকাঠি কি রাজশাহী
বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আছে? ৪১ নং প্রশ্নে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে -"রোহিংগা মুসলমানদের
উপর মায়ানমারের সেনাবাহিনী এবং "বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা" কবে হামলা করেছিল?"
সাম্প্রদায়িকতা -নজির বিহীন মূর্খতা- অর্বাচীনতা ও মৌলবাদের এক অভূতপূর্ব সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে রাবির চারুকলার ঐ প্রশ্নপত্রে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শরীরে পচন ধরেছিল অনেক আগেই এখন অস্থি-মজ্জা এবং হাড়েও পচন ধরেছে। দুর্গন্ধে টেকা যাচ্ছে না। নগর পুড়িলে দেবালয় এড়ায় না। রাষ্ট্র যখন ক্রমাগত সাম্প্রদায়িকীকরণের পথে হাঁটছে তখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাদ যাবে কেন? অনুর্বর -বন্ধ্যা-ধ্বস্ত বিধ্বস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছে দেশ ও জাতির চাওয়ার আর কিছুই নাই। এখানে কিছু মানুষ চাকরি করেন, একটা ডক্টরেট পাওয়ার জন্য টুকটাক গবেষণা করেন, দুই চারটা আর্টিকেল লেখেন এবং অবশেষে লক্ষ লক্ষ ছাগল ও কেরানী উৎপাদন করে দেশ ও জাতিকে সাপ্লাই দেন।
সাম্প্রদায়িকতা -নজির বিহীন মূর্খতা- অর্বাচীনতা ও মৌলবাদের এক অভূতপূর্ব সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে রাবির চারুকলার ঐ প্রশ্নপত্রে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শরীরে পচন ধরেছিল অনেক আগেই এখন অস্থি-মজ্জা এবং হাড়েও পচন ধরেছে। দুর্গন্ধে টেকা যাচ্ছে না। নগর পুড়িলে দেবালয় এড়ায় না। রাষ্ট্র যখন ক্রমাগত সাম্প্রদায়িকীকরণের পথে হাঁটছে তখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাদ যাবে কেন? অনুর্বর -বন্ধ্যা-ধ্বস্ত বিধ্বস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছে দেশ ও জাতির চাওয়ার আর কিছুই নাই। এখানে কিছু মানুষ চাকরি করেন, একটা ডক্টরেট পাওয়ার জন্য টুকটাক গবেষণা করেন, দুই চারটা আর্টিকেল লেখেন এবং অবশেষে লক্ষ লক্ষ ছাগল ও কেরানী উৎপাদন করে দেশ ও জাতিকে সাপ্লাই দেন।
No comments:
Post a Comment