কেউ যদি জেনে ফেলে আর কিছুক্ষণ পর সে মারা যাচ্ছে তখন সে কী চিন্তা করে ?
বেশ কিছুদিন আগে ‘ নেয়ার ডেথ মোমেন্ট’ নামে একটি বই পড়েছিলাম। বইটির লেখক পেশায় ডাক্তার হবার সুবাদে আইসিইউ তে আসা বেশ কিছু রোগীকে নিয়ে গবেষণা করেন।
....তিনি জানান মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্তে যারা ধর্মে বিশ্বাস করে এবং যারা করে না প্রায় প্রত্যেকেই পরকাল নিয়ে ভীত থাকে...
এখন পর্যন্ত পাওয়া মানুষের সব থেকে পুরনো কঙ্কালটির বয়স এক লক্ষ আশি হাজার বছর। কঙ্কালটি পাওয়া গেছে আফ্রিকার এক মৃত জলাশয়ে।
এক লক্ষ আশি হাজার বছর আগে জন্ম নেয়া মানুষটির সুখ এবং দুঃখ গুলো এখন আপেক্ষিক...
আমার এখন আটত্রিশ বছর। আপাতত আমি ছোট একটি শহরের ৬ তলা বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে থাকি। একদিন অবশ্যই আমার বয়স এক লক্ষ বছর হবে।
অথচ এক লক্ষ বছর কীভাবে কাটাব, সেটার কোন প্রস্তুতি নেই। মানুষ যে সত্যিকার অর্থে নির্বোধ একটা প্রাণী সেটা আমি নিজেকে দেখে বুঝি...
আচ্ছা...‘আত্মা’র পরিণতি কী ?
এই নিয়ে বিজ্ঞান এখনো কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারে নি... ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে আত্মা অমর...
‘ অমর’ শব্দটি শুনলেই নাস্তিকরা এমন ভ্রু কুচকে ফেলে কেন? অধিকাংশ ক্যান্সার কোষই কিন্তু অমর।
ধর্ম আমাদের বলছে - এই জগতের পর আরেকটি জগত আছে...
মজার ব্যাপার হল, কোয়ান্টাম মেকানিক্সে আইনস্টাইন এর কাছ থেকেও আমরা প্রায় একই ধারণা পাই...
তিনি প্রমাণ করেছেন; এই মৃতের যে শক্তিটুকু ছিল তা অন্য কোন জগতে জীবন হিসেবে বিকশিত হচ্ছে!
......জীবনের শেষ দিকে এসে মানুষ খুব অন্যমনস্ক হয়ে যায়।
ডিশের লাইনের কাকের মত। অনেক ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত গ্যারেজের নষ্ট চাকার মত।
কিছু করার থাকে না।
সব কিছুর পরিণতি কী ? বিনাশ ? আপনি যদি একটি পাথরকেও আলাদা ভাবে চিন্তা করেন তাহলে দেখবেন এরো একটা পরিণতি আছে...
সাইকেল , পেন্সিল , মহিষ , কম্পিউটার , প্রেমিকা , ধর্মতলা মার্কেট , পাখি , বিলবোর্ড এসব কিছুর একটা পরিণতি আছে...
......নির্দিষ্ট জ্বালানি নিঃশেষ হয়ে গেলে নক্ষত্রেরও একদিন ফুরিয়ে যেতে হয়। একদিন আকাশের দিকে তাকালে কেউ কোন নক্ষত্র দেখতে পাবে না...
অথবা নক্ষত্র দেখার মত একটা মানুষও বেঁচে থাকবে না।
শত বছর ধরে মানব সভ্যতা যত ইতিহাস লিখে রেখেছে সব কিছু একদিন নিরর্থক হয়ে যাবে... ইতিহাস পড়ার মত কোন মানুষ থাকবে না...
কোন বাদশা হুমায়ূন এক কালে কী করেছে , সব কিছু নিরর্থক মনে হবে...
......মূল্যহীন মনে হবে নিউটনের সূত্র , জীবনানন্দের পাগলামি অথবা যৌবনের মদের আসর গুলো...
অল্প কটা দিন আমরা বাঁচি... কী হবে এত কিছু করে ??
যেখান থেকে তুমি জন্ম নিয়েছো তার আগে অনেক কোটি বছর ছিল ; তুমি ছিলে না।
এবং
যেখান থেকে তুমি বিদায় নিবে তার পরে আরো অনেক কোটি বছর থাকবে...
তুমি থাকবে না।
বেশ কিছুদিন আগে ‘ নেয়ার ডেথ মোমেন্ট’ নামে একটি বই পড়েছিলাম। বইটির লেখক পেশায় ডাক্তার হবার সুবাদে আইসিইউ তে আসা বেশ কিছু রোগীকে নিয়ে গবেষণা করেন।
....তিনি জানান মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্তে যারা ধর্মে বিশ্বাস করে এবং যারা করে না প্রায় প্রত্যেকেই পরকাল নিয়ে ভীত থাকে...
এখন পর্যন্ত পাওয়া মানুষের সব থেকে পুরনো কঙ্কালটির বয়স এক লক্ষ আশি হাজার বছর। কঙ্কালটি পাওয়া গেছে আফ্রিকার এক মৃত জলাশয়ে।
এক লক্ষ আশি হাজার বছর আগে জন্ম নেয়া মানুষটির সুখ এবং দুঃখ গুলো এখন আপেক্ষিক...
আমার এখন আটত্রিশ বছর। আপাতত আমি ছোট একটি শহরের ৬ তলা বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে থাকি। একদিন অবশ্যই আমার বয়স এক লক্ষ বছর হবে।
অথচ এক লক্ষ বছর কীভাবে কাটাব, সেটার কোন প্রস্তুতি নেই। মানুষ যে সত্যিকার অর্থে নির্বোধ একটা প্রাণী সেটা আমি নিজেকে দেখে বুঝি...
আচ্ছা...‘আত্মা’র পরিণতি কী ?
এই নিয়ে বিজ্ঞান এখনো কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারে নি... ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে আত্মা অমর...
‘ অমর’ শব্দটি শুনলেই নাস্তিকরা এমন ভ্রু কুচকে ফেলে কেন? অধিকাংশ ক্যান্সার কোষই কিন্তু অমর।
ধর্ম আমাদের বলছে - এই জগতের পর আরেকটি জগত আছে...
মজার ব্যাপার হল, কোয়ান্টাম মেকানিক্সে আইনস্টাইন এর কাছ থেকেও আমরা প্রায় একই ধারণা পাই...
তিনি প্রমাণ করেছেন; এই মৃতের যে শক্তিটুকু ছিল তা অন্য কোন জগতে জীবন হিসেবে বিকশিত হচ্ছে!
......জীবনের শেষ দিকে এসে মানুষ খুব অন্যমনস্ক হয়ে যায়।
ডিশের লাইনের কাকের মত। অনেক ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত গ্যারেজের নষ্ট চাকার মত।
কিছু করার থাকে না।
সব কিছুর পরিণতি কী ? বিনাশ ? আপনি যদি একটি পাথরকেও আলাদা ভাবে চিন্তা করেন তাহলে দেখবেন এরো একটা পরিণতি আছে...
সাইকেল , পেন্সিল , মহিষ , কম্পিউটার , প্রেমিকা , ধর্মতলা মার্কেট , পাখি , বিলবোর্ড এসব কিছুর একটা পরিণতি আছে...
......নির্দিষ্ট জ্বালানি নিঃশেষ হয়ে গেলে নক্ষত্রেরও একদিন ফুরিয়ে যেতে হয়। একদিন আকাশের দিকে তাকালে কেউ কোন নক্ষত্র দেখতে পাবে না...
অথবা নক্ষত্র দেখার মত একটা মানুষও বেঁচে থাকবে না।
শত বছর ধরে মানব সভ্যতা যত ইতিহাস লিখে রেখেছে সব কিছু একদিন নিরর্থক হয়ে যাবে... ইতিহাস পড়ার মত কোন মানুষ থাকবে না...
কোন বাদশা হুমায়ূন এক কালে কী করেছে , সব কিছু নিরর্থক মনে হবে...
......মূল্যহীন মনে হবে নিউটনের সূত্র , জীবনানন্দের পাগলামি অথবা যৌবনের মদের আসর গুলো...
অল্প কটা দিন আমরা বাঁচি... কী হবে এত কিছু করে ??
যেখান থেকে তুমি জন্ম নিয়েছো তার আগে অনেক কোটি বছর ছিল ; তুমি ছিলে না।
এবং
যেখান থেকে তুমি বিদায় নিবে তার পরে আরো অনেক কোটি বছর থাকবে...
তুমি থাকবে না।
No comments:
Post a Comment