Sunday, 8 October 2017

স্কুল ভাল লাগে নি। ক্লাস টেন পর্যন্ত আমার কোন বন্ধু ছিল না। টিফিনের সময় আমি একা একা ঘুরতাম।

স্কুল ভাল লাগে নি। ক্লাস টেন পর্যন্ত আমার কোন বন্ধু ছিল না। টিফিনের সময় আমি একা একা ঘুরতাম।
দু টাকার ডিম ছাড়া চটপটি খেয়ে মানুষ দেখতে বের হতাম। মানুষ দেখার জন্য আমার একটা গোপন জায়গা ছিল।
সেতু সিনেমা হলের বিশাল বিলবোর্ডের খুঁটিতে পাখির মত বসে থাকতাম। আমি লক্ষ করেছি এই ছাদে কখনো কেউ থাকে না। এবং আমাকেও কেউ দেখেনা।
মানুষ দেখতে হয় আড়াল থেকে। বিচিত্র সব মানুষ। সুক্ষ ভাবে খেয়াল করলে দেখা যাবে এদের চলাফেরাও বিচিত্র।
ক্লাস এইট নাইনের একটি ছেলে টিফিনের সময় উঁচু বিলবোর্ডের খুঁটিতে বসে বিচিত্র মানুষ দেখছে, এই ব্যাপারটা ভাবলে এখন খুব অবাক হই।
আমি হয়ত আমার জন্মের দু রাত আগে নেশা করেছিলাম। সেই ঘোর আমার এখনো কাটে নি।
পুরো স্কুল জীবনে শুধু মাত্র একবার ক্লাসমেটদের সাথে খেলেছি। দশ ওভারের ম্যাচ। একবার বললাম, আমি বল করতে পারি। লেগ স্পিন।
তারা বলল- আচ্ছা।
হাত ঘুরিয়ে পারি না। আমার বল ‘টোক্কা’
অসুবিধা নেই।
‘আচ্ছা’ , ‘অসুবিধা নেই’ এ জাতীয় মন্তব্যের পরেও কেন আমাকে বল করতে দিল না বুঝলাম না। সম্ভবত এরা আমাকে গণায় ধরছে না। অথচ আমাদের লাল গেটের ভেতরে আমি একবার একশ পনেরো রান করেছি। রোদে দাড়িয়ে ফিল্ডিং করছি। এমন জায়গায় ফিল্ডিং করতে দিল যেখানে বল খুব একটা আসে না। পাশেই হেড স্যারের বাগান বাড়ি।
খেলা চলছে। আমি দেয়াল টপকে বাগানের ভেতর চলে গেলাম। কী সুন্দর হাস্নাহেনা। আমি তখন মুগ্ধ হওয়া রোগে ভুগছি। যাই দেখি মুগ্ধ হই। সাদা কুকুর দেখে মুগ্ধ হচ্ছি। সিলভার কালারের বিমান দেখে মুগ্ধ হচ্ছি। এমনকি লাউ গাছ দেখেও মুগ্ধ হচ্ছি। পনেরো ষোল বছর বয়সে পানসে হলদে বাগানটি আমার কাছে ছিল জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্ট।
বাগানের পাশেই একটা কাপড় শুকানোর দড়ি। সেখানে ঝুলছে প্রিন্সিপ্যাল স্যারের লাল আন্ডারওয়ার। জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্টের ঘোর ভেঙ্গে গেল।
সেই বয়সেই বুঝলাম ঘোর খুব খারাপ জিনিস।
ঘোরের ভেতরে আকাশের চিলকে মনে হয় সিলভার কালারের বিমান.

No comments:

Post a Comment

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...