অনেক
সময় আমরা না বুঝেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। কিছুদিন কথা বলে ভাল লাগা থেকেই। এটা এক ধরনের
ঘোর। প্রত্যেকের জীবনে এই ঘোর টা আসে।
হঠাৎ
এক বৃষ্টির রাতে রিক্সার হুড তুলে কেউ একজন চলে যাচ্ছে; মুহূর্তের জন্য মনে হবে - এই
মানুষটিকেই তো আমি খুঁজছি।
কিছুদিন
কথা হলেই মনে হবে তাকে না পেলে বেঁচে থাকার কোনই মানে হয় না। পুরো ব্যাপারটি ঘটে ‘সেরোটোনিন’ নামে
এক ধরনের রাসায়নিক উপাদানের কারণে।
এটি
মানুষকে এক অর্থে বিভ্রমে নিয়ে যায়।
আমরা
আসলে ঠিক কাকে খুঁজি আমরা জানি না। খুব সুন্দরের প্রতি অনেকের খুব আকর্ষণ। তবে যত সুন্দর দৃশ্যই হোক এক সময় চোখ সয়ে যায়। ট্রেনে
উঠার পর দেখবেন প্রথম দিকে সবাই খুব আগ্রহ নিয়ে জানালা ধরে তাকিয়ে থাকে।
......খাল বিল... চিল...হাডুডু চাঁদ... তবুও এক সময় একঘেয়ামি
চলে আসে। জানালা লাগিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা।
মানুষের খুব খারাপ সময় কোন বিপরীত লিঙ্গ কাছে এসে দাঁড়ালে
সে প্রবল আবেগে চলে যায়। সেই বিশেষ মুহূর্তে তার এক ধরনের আবেগ জন্ম নেয়।
সেই মুহূর্ত আর জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত এক বিষয় না; এই ব্যাপারটা
অনেকেই বুঝতে পারে না।
অনেক ক্ষেত্রে দেখবেন কারো ব্রেকাপ হলে তার খুব কাছের কোন বিপরীত লিঙ্গের বন্ধু তাকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে এবং কীভাবে কীভাবে যেন তার সাথেই সম্পর্কে জড়িয়ে যাচ্ছে।
অনেক ক্ষেত্রে দেখবেন কারো ব্রেকাপ হলে তার খুব কাছের কোন বিপরীত লিঙ্গের বন্ধু তাকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে এবং কীভাবে কীভাবে যেন তার সাথেই সম্পর্কে জড়িয়ে যাচ্ছে।
এই ব্যাপারগুলো সাধারণত এইসব কারণে ঘটে।
অনেক সময় আমরা না বুঝেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। এটা খুব বিপদজনক।
এক সময় সে টের পায় সে কিছু বোধ করছে না; তবু ছেড়ে আসতে পারে না।
নেহাত কিছু প্রতিশ্রুতির ভয়ে।
পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ একই ছাদের নিচে জীবন কাটিয়ে দিচ্ছে
শুধু মাত্র প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার জন্য।
এর পর অনেক কিছুই হতে পারে। যদি সে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখে তবে সে প্রথমে নিজেকে ঠকায় এবং একই সাথে তার কাছের মানুষটিকেও।
এর পর অনেক কিছুই হতে পারে। যদি সে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখে তবে সে প্রথমে নিজেকে ঠকায় এবং একই সাথে তার কাছের মানুষটিকেও।
...বছরের পর বছর মানুষ অভিনয় করতে পারে না। এক সময় আর বলা
হয় না – চল
ছাদে যাই। আজ তোমাকে কী যে খুব সুন্দর লাগছে!
বেশির ভাগ সম্পর্কে এক সময় প্রেম থাকে না। মায়া চলে আসে।
সম্পর্ক টিকে থাকার জন্য দুটি হরমোন খুব বড় ভূমিকা রাখে।
... একটি ভাসোপ্রেসিন, অন্যটি অক্সিটোসিন। এই দুই হরমোন
এক ধরনের বন্ধন তৈরি করে। মানুষ জালে আটকা পড়ে।
পুরো ব্যাপারটি ঘটে সূক্ষ্ম ভাবে। অনেক বছর পর আপনাকে কেউ
দেখলে অবাক হয়ে বলে – আরে
তোমার চেহারা তো অনেক বদলে গেছে... অথচ রোজ কত বার আপনে আয়নার সামনে দাড়িয়ে থেকেও এই
ব্যাপারটি ধরতে পারেন নি।
...আপনি টের ই পান নি; কীভাবে কৈশোরের মুখ টা একদিন বৃদ্ধ
হয়ে যাচ্ছে... একদিন একদিন করে...
একই ভাবে টের পাবেন না; কিভাবে প্রেমটা পরিণত হচ্ছে মায়ায়! একটু একটু করে!
???
একই ভাবে টের পাবেন না; কিভাবে প্রেমটা পরিণত হচ্ছে মায়ায়! একটু একটু করে!
???
No comments:
Post a Comment