Thursday 5 October 2017

ড. ফখরুদ্দীন আহমেদ

ড. ফখরুদ্দীন আহমেদ। জাতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা (২০০৭ সালের ১২ই জানুয়ারি থেকে ২০০৯ সালের ৬ই জানুয়ারী)
এই লোকটাকে নিয়ে ইদনিং ফেইসবুকে অনেক লেখালেখি হচ্ছে।
ইনি নাকি দেশ ও জাতির অনেক ক্ষতি করেছে। ইনাকে জাতিয় বেইমান বলে আনেকে অভিহিত করতেছে।
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল এই লোকটার শাসন কাল নিজ চোখে দেখার।
ইনি আসলেই একজন জাতীয় বেইমান কারন এই লোকটার আমলেই সাধারন মানুষ নির্ভয়ে চলাচল করতে পারতো।
ইনি আসলেই একজন জাতীয় বেইমান কারন এই লোকটার আমলেই যেকোন পুলিশি সেবা নিতে ঘুষ লাগতো না।
ইনি আসলেই একজন জাতীয় বেইমান কারন এই লোকটার আমলেই কোন সরকারি অফিসে কাজের জন্য ১ টাকাও ঘুষ দিতে হয় নি।
ইনি আসলেই একজন জাতীয় বেইমান কারন এই লোকটার আমলেই মেয়েরা নিরাপদে চলাচল করতে পারতো। এমনকি রাত ১০ টার পরেও যদি কোন মেয়ে রাস্তা দিয়ে একা চলাচল করতো কোন বান্দির পুত ছিলোনা যে ইফটিজিং করবে। দিনে ইফটিজিংতো চিন্তার বাইরে ছিলো।
ইনি আসলেই একজন জাতীয় বেইমান কারন এই লোকটার আমলেই বাংলাদেশের ইতিহাসে ধর্ষন সর্বনিম্ন পর্যায়ে ছিলো। ধর্ষন ছিলো না বল্লেই চলে।
ইনি আসলেই একজন জাতীয় বেইমান কারন এই লোকটার আমলেই চাকরি নিতে কোন ঘুষ লাগতো না।
ইনি আসলেই একজন জাতীয় বেইমান কারন এই লোকটার আমলেই কোন মারামারি হানাহানি, গাড়ি ভাংচুর, রাস্তা অবরোধ হতো না।
ইনি আসলেই একজন জাতীয় বেইমান কারন এই লোকটার আমলেই ধর্মীয় সংখ্যালঘু বলতে কোন কথা ছিলো না। সবাই সমান অধিকার ভোগ করতো।
ইনি আসলেই একজন জাতীয় বেইমান কারন এই লোকটার আমলেই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া হতো। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন মারামারি ছিলো না। কোন লেখাপড়ার পরিবেশ নাষ্টকারী ছাত্র নেতাও ছিলো না।
ইনি আসলেই একজন জাতীয় বেইমান কারন এই লোকটার আমলেই রাস্তাঘাট, বাজার, গাড়িতে এক কথায় কোথাও চাদাবাজি ছিলো না। কোন গাড়ির মালিক / ড্রাইভার বলতে পারবে না যে গাড়ি চালাদে গিয়ে রাস্তায় ১ টাকাও চাদা দিতে হয়েছে।
ইনি আসলেই একজন জাতীয় বেইমান কারন এই লোকটার আমলেই অমুক ভাই, তমুক ভাই , ছাও নেতা, পাতি নেতা, টেন্ডার নিয়ে মারামারি ছিলো না।
ইনি আসলেই একজন জাতীয় বেইমান কারন এই লোকটার আমলেই সকল দুইনাম্বার ব্যবাসা বন্ধ হয়ে গেছিলো।
ইনি আসলেই একজন জাতীয় বেইমান কারন এই লোকটার আমলেই সরকারি সেবা বলতে যা বোঝায় তা মানুষ কোন ঘুষ তদবির ছারাই পেতো।
ইনি আসলেই একজন জাতীয় বেইমান কারন এই লোকটার আমলেই সব আকাম - কুকাম, মদ - জুয়া নারীবাজি বন্ধ হয়ে গেছিলো।
ইনি আসলেই একজন জাতীয় বেইমান কারন এই লোকটার আমলেই পাসপোর্ট নিতে কোন ঘুষ লাগতো না, ভূমি অফিসে কোন ঘুষ লাগতো না, এয়ার পোর্টে কাওকে হয়রানির শিকার হতে হতো না।
ইনি আসলেই একজন জাতীয় বেইমান কারন এই লোকটার আমলেই রাস্তার ট্রাফিক পুলিশ একটা টাকা চাওয়ার সাহস দেখাই নি।
ইনি আসলেই একজন জাতীয় বেইমান কারন এই লোকটার আমলেই মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারতো, ঘুম হয়ে যাওয়ার ভয় থাকতো না।
সর্বশেষে বলতে চাই,
আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (বাংলাদেশ) কে দেখি নাই,
আমি ডাঃ মাহাথির মোহাম্মদ (মালেশিয়া) কে দেখি নাই,
আমি লি কুয়ান ইউ (সিঙ্গাপুর) কে দেখি নাই,
আমি আব্রাহাম লিংকন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট) কে দেখি নাই,
আমি দেখেছি ড. ফখরুদ্দীন আহমেদ কে।
ইনিই দেখিয়ে গেছেন যে দেশকে কিভাবে দূর্নীতি, ঘুষ মুক্ত করতে হয়।
ইনিই দেখিয়ে গেছেন দেশের মানুষের নিরাপত্তা কাকে বলে।
কেউ পছন্দ না করলেউ এই খারাপ লোকটাই আমার আদর্শ।

No comments:

Post a Comment

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...