Wednesday, 8 February 2017

ভালোবাসার করিডোর পেরিয়ে এসেছি অনেকটা পথ এবার সংরক্ষণের মুহূর্ত।



ভালোবাসার করিডোর পেরিয়ে এসেছি অনেকটা পথ এবার সংরক্ষণের মুহূর্ত বাসে ,ট্রেনে, পথে যেখানে তোমায় পেয়েছি অনুভবে না আনলেও চোখের স্মৃতিতে তুমি থেকেছ সব সময় হ্যাঁ তুমি তোমাকে বলছি হ্যাঁ তোমাকে (ভালোবাসা) রাস্তায় হেঁটেছি অনেকটা পথ সম্মুখে তোমায় রেখে আর অবলীলায় তোমায় হাতছানি দিয়ে ডেকেছি আমায় সঙ্গে নেবার, কতোটা সময় যে পেরিয়ে গেলো বুঝতে পারিনি.. সত্যি সময় ভালোবাসা কোনটা অপেক্ষা করেনা কারো জন্য এরা অনেক বেশি নিষ্ঠুর ,ভালোবাসা নাকি একবার আসে জীবনে তাই বুঝি ! আমার কিন্তু তা বিশ্বাস হয়না ,ভালোবাসা হয় হৃদয়ে হৃদয়ে আর হৃদয় বূঝি অপেক্ষায়ই থাকে ভালোবাসার পূজোর ফূল কুঁড়াতে একসাথে আহসান মঞ্জিলের করিডোর পেরিয়ে হাত ধরে হাঁটা কিন্তু আমার কাছে ভালোবাসা , যখন হেঁটে চলি তখন কোন পথে হাঁটছি গাড়ি এসে মেরে দিলো কীনা, এসব নজর রাখাও কিন্তু ভালোবাসা , এলোমেলো চূল গুলিকে কপাল থেকে সরিয়ে গুছিয়ে দেওয়া আমার কাছে ভালোবাসা জানিনা ভালোবাসা আর কিসে হয় হয়তো আরও অনেক কিছুর সাথেই মিশে আছে ভালোবাসা কেবল হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে বোঝার বিষয় ...
হ্যা আজ বেঁচে আছি হয়তো কাল থাকবোনা, কিন্তু রেখে যাবো কিছু ভালোবাসার মুহূর্ত জানিনা কেমন করে থাকবো মরে গিয়ে- আমার বিষণ্ণ সন্ধ্যা , আমার স্নিগ্ধ সকাল বেলার প্রেম ,আমার ভালোবাসার কবিতা গূলোকে ছাড়া! আমি ভালোবাসি আমার মতো করে ,আমার ভালোবাসা শুধু আমার সেখানে কেউ বা কারো প্রবেশাধিকার নেই ,আমি একরোখা কিন্তু স্বার্থপর নই আমার ভালোবাসার ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে সারাজীবন সরলতায় কাটিয়ে দিলাম আজ কেবলই মনে হয় কোথাও কেউ ছিলোনা ,কোথাও কেউ নেই ...

খূব কাছের বন্ধুরা যখন ভূল বুঝে কষ্ট দেয় তখন খূব কষ্ট পাই, এই কষ্ট গুলোকে ভালোবাসায় রূপান্তর করবার বৃথা চেষ্টা করি মাঝে মাঝেই কিন্তু তোরা আজও বূঝলিনা তোদের কতো ভালোবাসি। হয়তো তোদের চেয়েও বেশি জানিনা আমি চলে গেলে তোরা আমার জানাজাতে আসবি নাকি, আসল কথা কি জানিস আমি চাইও না তোরা আসবি তোরা থাক যেমন তোরা থাকতে চেয়েছিলি, শুধু আমার পুরনো স্মৃতিগুলো ফিরিয়ে দিস
আমি স্বাভাবিক ভাবে পশু পাখি দের অনেক ভালোবাসি ওদের জন্য অনেক কিছু করতে ইচ্ছে হয়। সত্যি বলতে যখন দেখি একটি হাড্ডিসার কুকুর ডাস্টবিন থেকে খূব কষ্ট করে ওর খাবার খুঁজে ফিরছে তখন আমি মূর্ত হয়ে দেখি আর কষ্টে আমার বূকে ব্যাথা হয় আমি কি পারিনা ওদের খাবারের জোগাড় করতে ...যখন কোন উত্তর পাইনা নির্লিপ্ত পায়ে আমি হেঁটে চলি। নিজেকে খুব স্বার্থপর মনে হয় কেবলই মনে হয় আমি হয়তো মানুষ নই হয়তো কোন অমানুষ জানি দুঃখী মানুষের মুখে দু মুঠো ভাত দিতে আমারা অপারগ কিন্তু ওরা তো কারো না কারো কাছ থেকে পায় অথচ পথের কুকুর গুলো বিড়াল গুলো ওদের দেবার কেও নেই জানিনা ওদেরকেই মাঝে মাঝে কেন আমার অনেক অনেক বেশি আপন লাগে, কেননা ওদের দেখে আমার কষ্ট গুলো ভূলে যাই এর নাম ভালোবাসা নয় তো? যদি হয় তাহলে আমি ওদের অনেক অনেক বেশি ভালোবাসি।
ছোটো বেলা থেকেই আমার দুটি চোখ দান কোরে যেতে চেয়েছি (কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেহটাই দান করলাম ঢাকা মেডিকেলে), হয়তো আমি থাকবো না কিন্তু আমার চোখ দুটি দিয়ে কেও পৃথিবীর আলো দেখবে এটা যে ভাবতেও আমার জীবন সার্থক মনে হয় , জানি কিছুই রইলো না পৃথিবীকে দিয়ে যাবার মতো, তারপরও এই টুকু যদি দিতে পারি ...পৃথিবীতে যতো সৌন্দর্য আমি দেখিনি বিধাতা আমার ভাগ্যে লিখেন নি তার সবটুকু সৌন্দর্য যেন সেই মানুষটি দেখতে পায়... যার কপোলে আমার দুটি চোখ টগবগীয়ে থাকবে সারাক্ষণ জানিনা এটি ভালোবাসা কিনা?
যখন হাইস্কুল পার হলাম বন্ধুদের অনেক অনুভূতিতে এনেছি অনেক ভালোবাসার স্মৃতি বিজড়িত ছিল সেই সব দিন গূলো মনে পড়ে একবার একটি মেয়েকে আমার অনেক ভালো লেগেছিল ক্লাস থেকে বের হোয়ে বারান্দায় আসলে শুধু তাকে খুঁজতাম একবার "স্কাউটিং " করতে গিয়ে তাকে বলে ফেলেছিলাম তোমাকে আমার ভালোলাগে , যা হোলো সে বিচার দিলো আমাদের আজিজ স্যারকে। কিন্তু লাভ হলো স্যার দুজনকেই ডাকলেন বললেন তোমরা এখনো ছোটো। মজার ব্যাপার হল স্যার আমায় অনেক পছন্দ করতেন তাই আমার ভালোলাগাকে উনি উপেক্ষা করেন নি বরং কোন না কোন ভাবে মর্যাদা দিয়েছেন সেটা ছিল আমার প্রতি স্যারের ভালোবাসা, যখন কলেজ বিতর্ক হোলো একজন ছিলেন শুধু আমায় বাদ দিতে চাইতেন আর স্যার সব সময় আমার পাশে ছিলেন এই ভালোবাসা কোনোদিন শোধ করতে পারি নি আমি ...আমি শোধ করতে পারিনি আমার প্রিয় শিক্ষক কাশেম স্যারকে কে যিনি আমার জন্য কেঁদে ফেলেছিলেন আমি কলেজ ছেড়ে চাকুরীতে চলে এসেছি বলে ,আমি অকৃতজ্ঞ ,অধম। জানিনা উনি আজ কেমন আছেন তবে উনার পায়ের ধুলো নিতে আমি হয়তো খূব তাড়াতাড়ি যাবো
জীবনকে ভালোবাসি কিনা জানিনা তবে ভালোবাসার অমর্যাদা কোনদিন করিনি।
কখনো কখনো খূব দূরে চলে যেতে ইচ্ছে হয়, যেখানে ভেড়ার পালেরা ঘরের দিকে ফিরবার প্রত্যাশায় হেঁটে আসে। সেখানে ছোটো কুঁড়ে ঘর বেঁধে ,যেখানে আছে চলন বিল ,ফূল, সর্ষে ফুল। মানুষ ফেরে, ফিরতে হয় শরীর নিয়ে , হৃদয় নিয়ে। বেঁচে থাকুক হৃদয় ,বেঁচে থাকুক কবিতা ,বেঁচে থাকুক আমার আমি , বেঁচে থাকুক ভালোবাসা, বেঁচে থাকুক শ্রদ্ধা , বেঁচে থাকুক মনের খোলা জানালা শুধুই ভালোবাসায় ...

No comments:

Post a Comment

অভিশপ্ত রজনী

  মৃত মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যে জীবিত হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করেনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাব্য।ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়েটিকে ভোগ করার...