পৃথিবীর ইতিহাসে অদ্ভুদ সব বিয়ের ঘটনা
আমরা অনেকেই জানি। কুকুর কিংবা সাপের সাথে বিয়ে। আইফেল টাওয়ারের সাথে বিয়ে। বালিশের সাথে বিয়ে। এমনকি
নিজের সাথে বিয়ে।
এইসব বিয়ের ঘটনা শুনে আমরা আনন্দ পাই। হাসতে হাসতে ফ্লোরে গড়াগড়ি দেই। যেদিন বিকেলে আড্ডার টপিক থাকে না সেদিন এইসব টপিকে আড্ডা প্রাণ ফিরে পায়।
আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি- কয়েকশো বছর পর পৃথিবীর মানুষ গুগলে সার্চ দিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান নামে আমরা যা করি ; তা জেনে এইরকম মেঝেতে গড়াগড়ি খেয়ে হাসবে।
হুমায়ূন আহমেদ একবার গিয়েছিলেন এক বিয়ের অনুষ্ঠানে। তার সাথে ছিলেন এক আমেরিকান পর্যটক। পর্যটকের আগ্রহের সীমা নেই। তিনি কিছুক্ষণ পর পর হুমায়ূন আহমেদকে জিজ্ঞাসা করছিলেন - অনুষ্ঠান কখন শুরু হবে ?
প্রতিবারই লেখক জবাব দিলেন - একটু পর।
একসময় রাত দশটা বেজে গেল। তারা দুজন খেতে বসলেন। পর্যটক আর অপেক্ষা করতে না পেরে আবারো জিজ্ঞাসা করলেন - বিয়ের অনুষ্ঠান কখন শুরু হবে ?
হুমায়ূন আহমেদ অস্বস্তিতে পড়ে গেলেন। এই বিদেশী ভদ্রলোককে তিনি কীভাবে বলবেন - খাবার অনুষ্ঠানটাই মূলত আমাদের এখানে বিয়ের অনুষ্ঠান !
সেই খাবার অনুষ্ঠানের যোগান দিতে না পেরে কত বাবা কে , মেয়ে কে আত্মহত্যা করতে হয়েছে তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান আমার কাছে নেই।
সেদিনই পত্রিকায় পড়লাম - এক গরীব কৃষকের পাঁচ মেয়ে। পাঁচজনই বিয়ের উপযুক্ত... ফলাফল তিনি প্রথমে তার ঘুমন্ত পাঁচ মেয়েকে খুন করেছেন এবং পরে নিজেই সুইসাইড করেছেন।
কিছুদিন আগের কথা...
এইসব বিয়ের ঘটনা শুনে আমরা আনন্দ পাই। হাসতে হাসতে ফ্লোরে গড়াগড়ি দেই। যেদিন বিকেলে আড্ডার টপিক থাকে না সেদিন এইসব টপিকে আড্ডা প্রাণ ফিরে পায়।
আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি- কয়েকশো বছর পর পৃথিবীর মানুষ গুগলে সার্চ দিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান নামে আমরা যা করি ; তা জেনে এইরকম মেঝেতে গড়াগড়ি খেয়ে হাসবে।
হুমায়ূন আহমেদ একবার গিয়েছিলেন এক বিয়ের অনুষ্ঠানে। তার সাথে ছিলেন এক আমেরিকান পর্যটক। পর্যটকের আগ্রহের সীমা নেই। তিনি কিছুক্ষণ পর পর হুমায়ূন আহমেদকে জিজ্ঞাসা করছিলেন - অনুষ্ঠান কখন শুরু হবে ?
প্রতিবারই লেখক জবাব দিলেন - একটু পর।
একসময় রাত দশটা বেজে গেল। তারা দুজন খেতে বসলেন। পর্যটক আর অপেক্ষা করতে না পেরে আবারো জিজ্ঞাসা করলেন - বিয়ের অনুষ্ঠান কখন শুরু হবে ?
হুমায়ূন আহমেদ অস্বস্তিতে পড়ে গেলেন। এই বিদেশী ভদ্রলোককে তিনি কীভাবে বলবেন - খাবার অনুষ্ঠানটাই মূলত আমাদের এখানে বিয়ের অনুষ্ঠান !
সেই খাবার অনুষ্ঠানের যোগান দিতে না পেরে কত বাবা কে , মেয়ে কে আত্মহত্যা করতে হয়েছে তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান আমার কাছে নেই।
সেদিনই পত্রিকায় পড়লাম - এক গরীব কৃষকের পাঁচ মেয়ে। পাঁচজনই বিয়ের উপযুক্ত... ফলাফল তিনি প্রথমে তার ঘুমন্ত পাঁচ মেয়েকে খুন করেছেন এবং পরে নিজেই সুইসাইড করেছেন।
কিছুদিন আগের কথা...
আমার এক নিন্ম মধ্যবিত্ত বন্ধুর বোনের বিয়ে। সে আমার কাছে এসে জানাল, আমি তো টুকটাক লিখালিখি করি। তাদের বিয়ের নিমন্ত্রণ পত্রটা যেন লিখে দেই। আমি লিখে দিলাম।
''জনাব/ জনাবা,
আগামী এত তারিখে উমুকের বিয়ের খাবারের অনুষ্ঠানের দিনক্ষন ঠিক করা হয়েছে। রহিম বাবু দীর্ঘ তিন বছর পেনসনের টাকা জমিয়ে উমুক এবং তুমুকের কাছ থেকে এত এত টাকা ধার করে উক্ত খাবারের অনুষ্ঠানে আপনার জন্য মুরগীর রোষ্ট, গরুর মাংস , বোরহানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিছু টাকা শর্ট পড়াতে আইটেমে খাসীর মাংস থাকছে না। আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। '' আমার বন্ধু কিছুক্ষণ হেসে আমাকে ছীটগ্রস্থ মানুষ ভেবে চলে গেল। আমি কিন্তু ছীটগ্রস্থ মানুষ না। আমার এই লিখাটি শুনতে যতই হাস্যকর শোনাক; এর চেয়ে সত্য বাঙ্গালির জীবনে আর কিছু নাই।
প্রতিটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে আমি ভাবি- এত মানুষ কেন এসেছে ? খেতে এসেছে। এত মানুষকে দাওয়াত দেয়া হল কেন ? সমাজ রক্ষা ? সমাজের ডেফিনেশন কী ?
আমার আশে পাশের কারো বিয়ে হলে আমি সব সময় মানুষের লিস্ট শর্ট করতে বলি। তারা লিস্ট দীর্ঘ করতে করতে জানায় - সবাই খুব আপন। কাউকেই বাদ দেয়া যাবে না।
একটা ফ্যামিলির প্রায় এক হাজার আপন মানুষ দেখে আমি অবাক হই। অথচ আমি জানি এরা যখন সত্যিকার অর্থে সমস্যায় পড়ে তখন দু একজনের বেশি কাউকে পাওয়া যায়না।
উন্নত বিশ্বে এখনই এইসব মেকি জিনিস উঠে যাচ্ছে। পৃথিবী একদিন অনেক দূর যাবে। শুধু মাত্র কে কী মনে করছে ভেবে কেউ দশ বছর ধরে একটা খাবারের অনুষ্ঠানের টাকা জমাবে না। কেউ তার একমাত্র সন্তানের বিয়ের অনুষ্ঠানটাকে মেজবানের অনুষ্ঠান বানাবে না।
আমি ঠিক করেছি আমার বিয়ের অনুষ্ঠান জাহাজে হবে। নেভালের রাস্তার দু পাশে নীল বাতি জ্বলবে। একদল বেহালা বাদক জাহাজের উঠানে বসে বাজাবে সমুদ্রের গান।
খাবারের ব্যবস্থাও থাকবে। আপনার পছন্দের প্রায় সব আইটেম সেখানে রাখা হবে। তবে আপনার খাবারের বিল আপনাকে পে করতে হবে।
এক/চার/তিন
No comments:
Post a Comment