কেন মানুষ টাকা পয়সা খরচ করে নিজেকে নষ্ট করে? এই সাইকোলজি বুঝতে হলে ফ্রয়েডের নিষিদ্ধ থিওরী বুঝতে হবে।
শুধু মানুষ না ; অন্যান্য পশু পাখিও নেশা করে ! মানুষ ভবের পাগল। তারা মাতাল হতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। পশু পাখির সমস্যা কী ?
....বিবর্তবাদের সূত্র বলছে নেশায় আসক্ত হবার জিন আমরা আদিপুরুষ থেকেই নিয়ে এসেছি। এককালে তারা গাছের পাকা ফল খেয়ে মাতলামি করেছেন।
সেই কালেও নিশ্চয়ই কেউ কেউ বেলাইনের ছিল ! ভবের ছিল ! কে জানে !
আপনি সারাক্ষণই কিছু না কিছু ভাবছেন। আপনি হয়ত কাজ করছেন , কথা বলছেন এর ভেতরেও একটা কিছু ভাবছেন। সচেতন ভাবে না ; অচেতন ভাবে।
গত এক ঘণ্টা আগে কী ভেবেছিলেন? তিন ঘণ্টা আগে ? দু দিন আগে ?
কিছুটা এলোমেলো লাগছে ?
....কাছের মানুষকে একটা পর্যায় পর আর বুঝে উঠতে পারি না। খুব চেনা মানুষটাকে হঠাৎ হঠাৎ খুব অচেনা মনে হয়। কেন জানেন ?
আমরা শুধু মানুষটার সচেতন মনটাকেই জানতে চাই ; অচেতন মন কে না।
এখানেই আমরা সব থেকে বড় ভুলটা করে ফেলি।
ফ্রয়েড তত্বে আছে, আপনি সচেতন ভাবে যা করছেন তাও আপনাকে দিয়ে করিয়ে নিচ্ছে অচেতন মন।
অচেতন মন আদর চায়। আশ্রয় চায়। আকাশ কুসুম স্বপ্নে নিজেকে কখনো রানী এলিজাবেথ কখনো বিল গেটস কখনো রুপালী পর্দার তারকা বানিয়ে ফেলে।
....পকেটে দশ টাকা নিয়ে বেকার যুবক বসে থাকে হেলিকাপ্টারে। মাজার গেটের ভিক্ষুক ঝিম মেরে চা খায় ওয়াইট হাউসে। কড়া লিকারের চা ভুলিয়ে দেয় কড়া রোদের কথা।
আমার ধারণা, কষ্ট পেয়ে আনন্দ পাবার রোগটাও এখান থেকে আসা। আকাশ কুসুম চিন্তা করা এই মনটা বাস্তববাদী না।
সে বড় অভিমানি। কেউ চলে গেলে তাকে ফেরাবে না। একা একা কষ্ট পাবে। না খেয়ে থাকবে। তার না খাবার সংবাদ শুনে সে কষ্ট পাবে। এতে এক ধরনের আনন্দ আছে।
সে হাত কাটবে। প্রিয় জিনিস ছুঁড়ে ফেলে দিবে। বিসর্জন হল। বিসর্জনে এক ধরনের আনন্দ আছে।
....আপনি তাকে কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করলে সে হাসি দিয়ে বলবে ভাল আছি। সে বুঝতে দেবে না , সে ভাল নেই। কষ্ট প্রকাশ করলে কষ্ট কমতে শুরু করে। সে কমতে দেবে না।
এতেও এক ধরনের তৃপ্ততা আছে।
....কেউ কেউ দেখবেন রাগ করে দু দিন কিছু খায় নি , নিজেকে নষ্ট করে ফেলছে নেশার আসরে , ঘুমের ওষুধ খেয়ে পড়ে আছে ফ্লোরে। এদের তাচ্ছিল্য করবেন না।
মানুষটার সচেতন মনটাকে না ; হাত বুলিয়ে দিন অচেতন মনে। একটু আশ্রয় দিন। আদর করুন।
No comments:
Post a Comment