একটা মানুষকে কতবার সুযোগ দেয়া যায় ?
এই প্রশ্নের উত্তর হল একবার। প্রথমবার সে ভুল করে; তাকে সেটা শুধরাবার সুযোগ দিতে হয়।
দ্বিতীয় বার মানুষটি একই কাজ করলে বুঝতে হবে; মানুষটা ভুল কিছু করেনি। তুমি ভুল করে একটা ভুল মানুষকে ভালোবেসেছিলে।
সবাই ভুল মানুষকে ফেলে চলে যেতে পারে না। মানুষটার প্রতি এক ধরনের মায়া জন্মে যায়। আমরা মনে করি মায়া খুব ঐশ্বরিক কিছু। ব্যাপারটা আসলে এরকম কিছু না।
একটা গাছে কিছুদিন পানি দিলে সেই গাছের প্রতি একটা স্নেহ জন্ম নেয়। একটা নেড়ি কুত্তাকে রাস্তায় দু দিন বন খাওয়ালেও মায়া জন্মে যায়।
যে ডাকাত স্বর্ণ লুট করতে গিয়ে সন্তানের হাত পা বেঁধে মা’কে ধর্ষণ করে সেই ডাকাতের জন্যও কেউ কেউ ঝড়ের রাতে খিচুরি পাক করে।
যে ছেলেটি ট্রেনের টয়লেটে বসে পাশের সীটের কোন নারীর কথা ভেবে মাস্টারবেশন করে তার জন্যও কেউ না কেউ পথ চেয়ে থাকে।
মায়া’কে প্রশ্রয় দিতে নেই। মায়া সংক্রামক। মায়াকে মায়া করলে মায়া বাড়তেই থাকবে। ছুড়ে ফেললে দেখবে একদিন সব কিছু ঠিকঠাক হয়ে গেছে। আজকের কষ্টটার কথা মনে পড়লে দেখবে সেদিন একটা হাসি পাবে।
মানুষ নিজের ইমোশনের কাছে হেরে যায়। সে ভুল মানুষটাকে ঠিক বানাতে চায়। সে কম্প্রোমাইস করতে চায়।
সে কিছুটা কষ্ট সহ্য করে হলেও মানুষটার সাথে থাকতে চায়। সে তার প্রেমকে ঐশ্বরিক কিছু মনে করে এই ভুল মানুষটির সাথে থেকে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। এখানেই সে সব থেকে বড় ভুলটি করে।
দাবা খেলায় দেখবে বোকারা একটি চাল দেবার পর পরেই বুঝতে পারে সে ভুল চাল দিয়ে ফেলেছে। সে চালটি ফিরিয়ে নিয়ে নতুন করে চাল দেবার সুযোগ পায় না।
লাইফটা দাবা খেলা না। এক বোর্ডে হারলেই নতুন করে আবার বোর্ড সাজানোর কোন সুযোগ নেই।
আজকে তোমার হাতে যে সুযোগটি আছে আগামীকাল সেই সুযোগটি থাকবে না। তখন থেমে থেমে কাঁদতে হবে। চোখ মুছে বিছানায় শোবার পর দেখবে ঢেউ এর মত বুকের ভেতর মোচড় দিচ্ছে।
সেদিন মানুষটার কাছ থেকে পালাতে চাইলেও জীবন তোমাকে পালাতে দিবে না।
মানুষ আসবে; যাবে। যার দিকে তাকিয়ে দুটা রাত সময় দিবে তার জন্যই একটা মায়া চলে আসবে। মায়া খুব তুচ্ছ জিনিস। মায়াময় কিছু না; তোমাকে শুধু একটা শুদ্ধ মানুষ খুঁজে নিতে হবে।
No comments:
Post a Comment