আপনি দেখবেন অনেকেই ফেইসবুকে অনেক কিছু লিখার চেষ্টা করে...
......এটা ফ্যাক্ট না কার লিখা ভাল হচ্ছে... আর কার লিখা ভাল হচ্ছে না...
ফ্যাক্ট হল - লক্ষ লক্ষ ছেলে মেয়ে প্রতিদিন আলাদা একটু সময় নিয়ে চিন্তা করছে... কিছু লিখছে... লিখতে গিয়ে পড়তে হচ্ছে... তাদের জ্ঞান বাড়ছে...
......একজন অন্যজন থেকে ভাল লিখার চেষ্টা করছে... তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে... কে জানে , একদিন এখান থেকেই নজরুল জন্মাবে... হুমায়ূন জন্মাবে...
এদেশের ছেলেরা এখন অনেক বেশি ক্রিয়েটিভ কাজের আথে জড়িত। এরা কেউ বসে থাকতে চায় না। ভাল ভাল আর্টিকেল লিখছে।
আমি অনেক ব্লগে গিয়ে এদের লিখা পড়ে অনেক কিছু জানার সুযোগ পাচ্ছি। এই প্রজন্ম আসলেই অনেক জ্ঞান রাখে। অন্তত এক সময় থেকে অনেক বেশি।
..... গানের দল করছে। সুর করছে। ফটোগ্রাফি করছে। নাটক বানানোর কথা ভাবছে।
আপনে বলতে পারেন অনেকেই ভণ্ড। তাতে ক্ষতি কী? নষ্ট রাজনীতি করার থেকে গীটার নিয়ে প্র্যাকটিস করা ভাল না? এতে কেউ অন্তত খুন হচ্ছে না। কারো জমি দখল হচ্ছে না।
একসময় কোন বড় ভাইএর সামনে কে সিগারেট খাইছে এই নিয়ে প্রতি দিন দশটা মারামারি হত। সেই দিক থেকে চিন্তা করলে দেশ আগাচ্ছে।
এখনকার ছেলেরা সোসাল নেটওয়ার্ক ইউস করতে জানে। অনেক ইভেন্ট আমি দেখেছি; যেখানে হাজার হাজার ছেলে মেয়ে অসহায় মানুষদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
....স্যালুট... দেশ এগোচ্ছে... একটু সময় লাগবে।
এবার অন্য বিষয়। নতুন লেখকদের বই পড়ার সময় একটা জিনিস কাজ করে। যাই লিখে হাস্যকর মনে হয়। একটা উদাহারন দেই।
বীণা বারান্দায় দাড়িয়ে আছে।
হা হা হা বারান্দায় কেন দাড়িয়ে থাকবে। গাধা রাইটার।
বীনা আকাশের দিকে তাকাল।
হা হা হা সস্তা কথা বার্তা।
রবীন্দ্রনাথ যখন লিখবে ' বীণা আকাশের পানে তাকাইয়া রইয়াছে'
তখন মনে হবে! কী সাংঘাতিক কথা! নিশ্চয়ই গল্পের এই পর্যায় এসে আকাশের দিকে তাকানোর কোন তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা আছে। আকাশের শেষ নেই। বীণা যেখানটায় তাকাল তার কোন শেষ নেই। কী আশ্চার্য !
শুধু মাত্র নামের কারণেই এক ধরনের দুর্বলতা কাজ করে।
......একি রেসিপির একি চা প্যারিসের কফি শপে খাবার পর অমৃত মনে হলেও মনির ভাইয়ের দোকানে খেতে বসলে বলবেন ' এইইই কী চা বানাইছোস? দুধ চিনি বাড়াই দে'
লিখাটাই মুখ্য; লেখক না।
কোন ভাল গল্প পড়ার সব থেকে ভাল উপায় হল; যদি সম্ভব হয় লেখকের নামটি না জানা।
চায়ের স্বাদের জন্য রেসিপিটাই যথেষ্ট; কে বানিয়েছে সেটা ফ্যাক্ট না।
No comments:
Post a Comment