স্বামীর রচনা:
.
ভুমিকাঃ স্বামী একটি গৃহপালিত প্রাণী। জন্ম থেকে গৃহে পালিত না হলেও স্বামী হবার পর এরা এমনিতেও কাজ ছাড়া গৃহের বাহিরে খুব একটা থাকতে পারে না। পুরুষ মানুষ বিয়ের মাধ্যমে স্বামীতে রূপান্তরিত হয়ে থাকে। এদের সঠিকভাবে পোষ মানালে ঘর ও বাইরের সমস্ত রকম কাজে ব্যবহার করা যায়। অবশ্য আধুনিক যুগে ‘বফ’ নামেও এক প্রজাতি দেখা যায় যারা স্বামীর অল্টারনেটিভ হিসেবে কবুল বলা ছাড়া বাকি সব কাজ কাজ করে থাকে।
.
খাদ্যঃ এরা সাধারনত সর্বভুক প্রাণী। অনেক ক্ষেত্রে এরা স্ত্রীর সযত্নে তৈরী করা (প্রায় অখাদ্য) যে কোন খাদ্য প্রসংসার সহিত সানন্দে ও তৃপ্তি সহকারে খেয়ে হজম করে।
.
আকৃতিঃ স্বামীর সাধারনত দুইটি হাত, দুইটি পা, দুইটি কান, দুইটি চোখ, একটি ভুঁড়ি, দুর্বল মেরুদণ্ড এবং একটি মগজবিহীন মাথা থাকে।
.
প্রকৃতিঃ এরা সাধারণত নিরীহ, শান্তিপ্রিয় ও ঝগড়াঝাঁটিতে অপটু প্রকৃতির হয়ে থাকে। বিয়ের আগে এরা বাঘের মত থাকলেও বিয়ের পর তারা ঝগড়ার সময় বিলাই এবং শপিং এর সময় গাধার মত স্ত্রীর বাহনে পরিনত হয়। তাই এরা স্ত্রী-প্রভুর অবাধ্য হয়ে চরম অশান্তি ভোগের আশঙ্কায় চিরকাল মিনমিনে স্বভাবের মিনসে হয়ে থাকে। এরা পুরনো কথার দিন-ক্ষণ, নাড়ি-নক্ষত্র সেভাবে মনে রাখতে পারেনা বলে ঝগড়া বা বিতর্কে প্রায়শই পরাজিত হয়।
.
উপকারিতাঃ স্বামী উপকারী ও ভীষণভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় একটি প্রাণী। এরা ছুটির দিনে সংসারের নানাবিধ কাজ, যেমন প্যান পরিস্কার, ফ্যান পরিষ্কার প্রভৃতি করে থাকে।এছাড়া এরা স্ত্রীর শাড়ির কুঁচি ধরে স্ত্রীকে সাজগোজে সাহায্য করে। এরা ভ্রমণের সময়ে কুলীরূপ ধারণ করে ভারী ব্যাগ বহন করে, কখন বা এরা ড্রাইভার রূপ ধারণ করে স্ত্রীকে লং ড্রাইভে নিয়ে যায়। কর্মক্ষেত্রে অবসরের পর এদেরকে নাতি নাতনী প্রতিপালন, ঘর পাহারা, বারবার দোকানে গিয়ে প্রয়োজনীয় টুকিটাকি জিনিস কিনে আনা – এই ধরনের গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
.
অপকারিতাঃ অনেক প্রকার স্বামী অফিসের কাজে অধিকাংশ দিন রাতকরে বাড়ী ফেরে। অনেকে আবার বাড়ীতে অফিসের কাজও নিয়ে আসে। তাই এরা স্ত্রীকে তাদের চাহিদামতো সময় দিতে পারে না। অধিকাংশ স্বামীই স্ত্রীকে শপিং- এ নিয়ে গিয়ে ধৈর্য হারিয়ে ফেলে। অনেকে স্ত্রীর সাথে “কাসোটকি জিন্দেগী” মার্কা সিরিয়াল দেখা না দেখা নিয়ে কাউমাউ করতে করতে স্ত্রীর জিন্দেগীই বরবাদ করে ফেলে।
.
উপসংহারঃ গৃহপালিত প্রাণীদের মধ্যে স্বামীর চেয়ে শ্রেষ্ঠ প্রাণী বিরল। যে আবিষ্কারক ‘স্বামী’ নামক ‘দামী’ পোষমানানো যোগ্য ‘প্রানী’-টি আবিষ্কার করেছিলেন, তাঁর কাছে পৃথিবীবাসী চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।
.
ভুমিকাঃ স্বামী একটি গৃহপালিত প্রাণী। জন্ম থেকে গৃহে পালিত না হলেও স্বামী হবার পর এরা এমনিতেও কাজ ছাড়া গৃহের বাহিরে খুব একটা থাকতে পারে না। পুরুষ মানুষ বিয়ের মাধ্যমে স্বামীতে রূপান্তরিত হয়ে থাকে। এদের সঠিকভাবে পোষ মানালে ঘর ও বাইরের সমস্ত রকম কাজে ব্যবহার করা যায়। অবশ্য আধুনিক যুগে ‘বফ’ নামেও এক প্রজাতি দেখা যায় যারা স্বামীর অল্টারনেটিভ হিসেবে কবুল বলা ছাড়া বাকি সব কাজ কাজ করে থাকে।
.
খাদ্যঃ এরা সাধারনত সর্বভুক প্রাণী। অনেক ক্ষেত্রে এরা স্ত্রীর সযত্নে তৈরী করা (প্রায় অখাদ্য) যে কোন খাদ্য প্রসংসার সহিত সানন্দে ও তৃপ্তি সহকারে খেয়ে হজম করে।
.
আকৃতিঃ স্বামীর সাধারনত দুইটি হাত, দুইটি পা, দুইটি কান, দুইটি চোখ, একটি ভুঁড়ি, দুর্বল মেরুদণ্ড এবং একটি মগজবিহীন মাথা থাকে।
.
প্রকৃতিঃ এরা সাধারণত নিরীহ, শান্তিপ্রিয় ও ঝগড়াঝাঁটিতে অপটু প্রকৃতির হয়ে থাকে। বিয়ের আগে এরা বাঘের মত থাকলেও বিয়ের পর তারা ঝগড়ার সময় বিলাই এবং শপিং এর সময় গাধার মত স্ত্রীর বাহনে পরিনত হয়। তাই এরা স্ত্রী-প্রভুর অবাধ্য হয়ে চরম অশান্তি ভোগের আশঙ্কায় চিরকাল মিনমিনে স্বভাবের মিনসে হয়ে থাকে। এরা পুরনো কথার দিন-ক্ষণ, নাড়ি-নক্ষত্র সেভাবে মনে রাখতে পারেনা বলে ঝগড়া বা বিতর্কে প্রায়শই পরাজিত হয়।
.
উপকারিতাঃ স্বামী উপকারী ও ভীষণভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় একটি প্রাণী। এরা ছুটির দিনে সংসারের নানাবিধ কাজ, যেমন প্যান পরিস্কার, ফ্যান পরিষ্কার প্রভৃতি করে থাকে।এছাড়া এরা স্ত্রীর শাড়ির কুঁচি ধরে স্ত্রীকে সাজগোজে সাহায্য করে। এরা ভ্রমণের সময়ে কুলীরূপ ধারণ করে ভারী ব্যাগ বহন করে, কখন বা এরা ড্রাইভার রূপ ধারণ করে স্ত্রীকে লং ড্রাইভে নিয়ে যায়। কর্মক্ষেত্রে অবসরের পর এদেরকে নাতি নাতনী প্রতিপালন, ঘর পাহারা, বারবার দোকানে গিয়ে প্রয়োজনীয় টুকিটাকি জিনিস কিনে আনা – এই ধরনের গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
.
অপকারিতাঃ অনেক প্রকার স্বামী অফিসের কাজে অধিকাংশ দিন রাতকরে বাড়ী ফেরে। অনেকে আবার বাড়ীতে অফিসের কাজও নিয়ে আসে। তাই এরা স্ত্রীকে তাদের চাহিদামতো সময় দিতে পারে না। অধিকাংশ স্বামীই স্ত্রীকে শপিং- এ নিয়ে গিয়ে ধৈর্য হারিয়ে ফেলে। অনেকে স্ত্রীর সাথে “কাসোটকি জিন্দেগী” মার্কা সিরিয়াল দেখা না দেখা নিয়ে কাউমাউ করতে করতে স্ত্রীর জিন্দেগীই বরবাদ করে ফেলে।
.
উপসংহারঃ গৃহপালিত প্রাণীদের মধ্যে স্বামীর চেয়ে শ্রেষ্ঠ প্রাণী বিরল। যে আবিষ্কারক ‘স্বামী’ নামক ‘দামী’ পোষমানানো যোগ্য ‘প্রানী’-টি আবিষ্কার করেছিলেন, তাঁর কাছে পৃথিবীবাসী চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।
No comments:
Post a Comment