সাধারণত
ছেলেদের থেকে মেয়েদের বাইরের
জগত ছোট। এরা
বাসায় আয়োজন করে নতুন
নতুন রেসিপি বানাবে।
সবসময় পরিষ্কার সাজগুজ হয়ে থাকবে। মুখে
ক্রিম পাউডার দিয়ে আয়নার
সামনে দাঁড়িয়ে থাকা।
চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে এরা অনেক কিছু ভাবে। নিজেকে দেখে। কাছের মানুষটা তাকে দেখলে কেমন বোধ করবে তা ভাবে। আরো অনেক কিছুই হয়ত ভাবে। আমি জানি না।
হাতে মেহেদী দিয়ে বোনকে দেখাবে। মা কে দেখাবে। নকশা নিয়ে আলোচনা হবে। বাইরে থেকে কেউ এলে ভাত বেড়ে দিবে। মাঝে মাঝে ফ্রিজ খুলে ট্যাং বানিয়ে দিবে। ডালের চামচ নাড়তে নাড়তে সহজ কোন গল্প বলবে। সুমনদের গাছের আমের ভর্তা বানিয়েছে। সেই আম কীভাবে এল সেই গল্প।
এদের গল্পে কোয়ান্টাম মেকানিক্স কিংবা প্যারালাল জগতের ব্যাপার সেপার থাকে না। সকালের পত্রিকায় সবাই যখন প্রথম পৃষ্ঠা নিয়ে কাড়াকাড়ি করে ... এদের চোখ থাকে বিনোদন পাতায়। কত স্নিগ্ধ কত সরল এদের জগত।
বাসায় কারো চা লাগলেই ডাক পড়বে। চা ভাল না হলেও বাবা বলবে তার মত চা আর কেউ বানাতে পারে না। এই প্রাপ্তিতেই এদের মন ভাল হয়ে যায়। ক্লাস করবে। ছেলেরা যেমন স্কুল পালিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় এদের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা অনেক কম।
বান্ধবীদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে। সেই আলোচনার বিষয় বস্তুতে ইয়াবা চালানের ব্যাপার থাকে না। এদের জগত বড় স্নিগ্ধ। কাচের বোতলের আমের আচারের মত স্নিগ্ধ।
এরা যখন কোন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তখন এদের সব কিছু সেই সম্পর্কে কেন্দ্রভুত করে ফেলে। স্বপ্ন দেখতে থাকে একদিন বিয়ে হবে। ছোট জানালা হবে। মা হবে। বাবুকে স্কুলে নিয়ে যাবে। কোলে নিয়ে শপিং মলে ঘুরে বেড়াবে। বাজার করে আনলে সে রান্না করবে। ঘর সাজাবে। তার নিজের মত করে সাজাবে।
ছেলেরা এই ভাবে ভাবতে পারে না। এখানে একটা দ্বন্দ্ব লেগে যায়। সেই দ্বন্দ্বও ঠিক করতে হয় মেয়েদের। বাবুকে নিয়ে মেলায় ঘুরার স্বার্থেই এসব করতে হয়।
এদেশের মেয়েরা মোগল সাম্রাজ্যের রাজপ্রাসাদ চায় না। নালা পাড়ার নোংরা বাড়ীটাও তাদের ছোঁয়ায় এক সময় রাজপ্রাসাদ হয়ে যায়।
চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে এরা অনেক কিছু ভাবে। নিজেকে দেখে। কাছের মানুষটা তাকে দেখলে কেমন বোধ করবে তা ভাবে। আরো অনেক কিছুই হয়ত ভাবে। আমি জানি না।
হাতে মেহেদী দিয়ে বোনকে দেখাবে। মা কে দেখাবে। নকশা নিয়ে আলোচনা হবে। বাইরে থেকে কেউ এলে ভাত বেড়ে দিবে। মাঝে মাঝে ফ্রিজ খুলে ট্যাং বানিয়ে দিবে। ডালের চামচ নাড়তে নাড়তে সহজ কোন গল্প বলবে। সুমনদের গাছের আমের ভর্তা বানিয়েছে। সেই আম কীভাবে এল সেই গল্প।
এদের গল্পে কোয়ান্টাম মেকানিক্স কিংবা প্যারালাল জগতের ব্যাপার সেপার থাকে না। সকালের পত্রিকায় সবাই যখন প্রথম পৃষ্ঠা নিয়ে কাড়াকাড়ি করে ... এদের চোখ থাকে বিনোদন পাতায়। কত স্নিগ্ধ কত সরল এদের জগত।
বাসায় কারো চা লাগলেই ডাক পড়বে। চা ভাল না হলেও বাবা বলবে তার মত চা আর কেউ বানাতে পারে না। এই প্রাপ্তিতেই এদের মন ভাল হয়ে যায়। ক্লাস করবে। ছেলেরা যেমন স্কুল পালিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় এদের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা অনেক কম।
বান্ধবীদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে। সেই আলোচনার বিষয় বস্তুতে ইয়াবা চালানের ব্যাপার থাকে না। এদের জগত বড় স্নিগ্ধ। কাচের বোতলের আমের আচারের মত স্নিগ্ধ।
এরা যখন কোন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তখন এদের সব কিছু সেই সম্পর্কে কেন্দ্রভুত করে ফেলে। স্বপ্ন দেখতে থাকে একদিন বিয়ে হবে। ছোট জানালা হবে। মা হবে। বাবুকে স্কুলে নিয়ে যাবে। কোলে নিয়ে শপিং মলে ঘুরে বেড়াবে। বাজার করে আনলে সে রান্না করবে। ঘর সাজাবে। তার নিজের মত করে সাজাবে।
ছেলেরা এই ভাবে ভাবতে পারে না। এখানে একটা দ্বন্দ্ব লেগে যায়। সেই দ্বন্দ্বও ঠিক করতে হয় মেয়েদের। বাবুকে নিয়ে মেলায় ঘুরার স্বার্থেই এসব করতে হয়।
এদেশের মেয়েরা মোগল সাম্রাজ্যের রাজপ্রাসাদ চায় না। নালা পাড়ার নোংরা বাড়ীটাও তাদের ছোঁয়ায় এক সময় রাজপ্রাসাদ হয়ে যায়।
No comments:
Post a Comment