তুমি খুব শান্ত ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছ – ভুল মানুষটিকে তুমি ভুলে যেতে চাও।
মানুষটিকে ভুলে থাকা তোমার জন্য খুব কষ্টদায়ক; তবু তোমাকে ভুলতে হবে। তুমি ভুলে থাকার চেষ্টা করছো; এর ফলে আরও বেশি করে মনে পড়ছে।
তোমার মন তোমার কথা শুনবে না। ‘মন’ শ্রোতা হিসেবে ভাল তবে ছাত্র হিসেবে না। আমি তাকে মনে করতে চাই না তবু ; খেতে বসলে রুটি ছেড়ার সময়, ব্রাশে টুথপেস্ট লাগানোর মত নিত্তান্ত কাজ করার সময় তার কথা মনে এলে আমার কী করার আছে ?
কোন কিছু যখন হুট করে মনে পড়ে তখন সেটাকে ‘ মনে না পড়ার’ অপশনে রাখার কোন নিয়ম নেই ; তবে একটা পক্রিয়া আছে।
হুট করে কারো কথা মনে পড়ে গেলে আমাদের হাতে দুটি অপশন থাকে। একটি হল যে জিনিসটি তোমার মনে পড়ছে তুমি সেই চিন্তাটাকে কন্টিনিউ করে যাবে। অন্যটি হল সাথে সাথে জোর করে অন্য কিছু নিয়ে ভাবা। স্বাভাবিক ভাবে ব্যাপারটিকে হাস্যকর মনে হলেও এটি আসলে কাজ দেয়।
একটু ব্যাখ্যা করি...
তুমি তাকে ভুলে যেতে চাও ; রয়েল হাটের সামনে দিয়ে যাবার সময় হঠাৎ তাকে মনে পড়ে গেল। তার সাথে এক সময় প্রচুর আসা হত। সেখানে ২৫০ এমএলএর পেপসির গল্প আছে। তুমি যদি এই চিন্তাটাকে প্রশ্রয় দাও তাহলে আরও অনেক কিছু মনে পড়বে...
মনে পড়বে এখানে একদিন তোমার জন্মদিনের কেক কাটা হয়েছিল। ফেরার সময় বৃষ্টি ছিল; তাকে ছাতার নিচে রেখে তুমি ভিজেছিলে। দুজন মানুষ একসাথে হাঁটছে ;একজন ভিজছে অন্যজন ভেজা হাতটি ধরে হাঁটছে...
এই পর্যায় এসে তোমার ভেতরে এক ধরনের দীর্ঘশ্বাস জন্ম নিবে। রিকশা ঠিক করছিলে তুমি ; জানা ছিল না পাশের মানুষটি জীবন ঠিক বসে আছে।
বুকের বাম দিকে ব্যাথা করবে; শার্টের বোতাম খুলে দিলে একটু বাতাস লাগবে। সেই বাতাসে চামড়া ঠাণ্ডা হয় ; স্মৃতিরা ঠাণ্ডা হয় না। ট্রাকের টায়ার চলে গেলে এইরকম ব্যাথা হয় নাকি ? কে জানে ?
আবেগকে অস্বীকার করতে বলছি না; আমি শুধু বলছি প্রশ্রয় দিবে না। একদম না। রয়েল হাটের সামনে দিয়ে যাবার সময় হঠাৎ তার কথা মনে এলে পাশের মানুষটির সাথে রাজনৈতিক আলাপ কর। পরীক্ষা বিষয়ক কথা বল।
এতে লাভ কী ? ঠিকই তো আবার মনে পড়বে ?? পড়ুক... যতবার মনে পড়বে ততবার এইকাজ করবে। একশবার... দুইশ বার... দশ হাজার বার... ? একসময় দেখবে আর মনে পড়ছে না।
মনে পড়লেও কোন দীর্ঘশ্বাস থাকবে না। দীর্ঘশ্বাস খুব খারাপ জিনিস। আমি মানুষের যে কোন টাইপ দীর্ঘশ্বাসকেই খুব ভয় পাই।
মনে পড়া আর ভুলে যাওয়া এক কথা না। যেদিন তার কথা মনে পড়ার পর কোন দীর্ঘশ্বাস জন্ম নিবে না ; সেদিন বুঝবে ভুল মানুষটিকে তুমি সত্যি সত্যি ভুলে গেছো.. !!
আমাদের জীবনের সব থেকে বড় ট্র্যাজেডি হল - প্রাসঙ্গিক বিষয় গুলো একদিন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায়... অপ্রাসঙ্গিক গুলো হয় প্রাসঙ্গিক।
মানুষটিকে ভুলে থাকা তোমার জন্য খুব কষ্টদায়ক; তবু তোমাকে ভুলতে হবে। তুমি ভুলে থাকার চেষ্টা করছো; এর ফলে আরও বেশি করে মনে পড়ছে।
তোমার মন তোমার কথা শুনবে না। ‘মন’ শ্রোতা হিসেবে ভাল তবে ছাত্র হিসেবে না। আমি তাকে মনে করতে চাই না তবু ; খেতে বসলে রুটি ছেড়ার সময়, ব্রাশে টুথপেস্ট লাগানোর মত নিত্তান্ত কাজ করার সময় তার কথা মনে এলে আমার কী করার আছে ?
কোন কিছু যখন হুট করে মনে পড়ে তখন সেটাকে ‘ মনে না পড়ার’ অপশনে রাখার কোন নিয়ম নেই ; তবে একটা পক্রিয়া আছে।
হুট করে কারো কথা মনে পড়ে গেলে আমাদের হাতে দুটি অপশন থাকে। একটি হল যে জিনিসটি তোমার মনে পড়ছে তুমি সেই চিন্তাটাকে কন্টিনিউ করে যাবে। অন্যটি হল সাথে সাথে জোর করে অন্য কিছু নিয়ে ভাবা। স্বাভাবিক ভাবে ব্যাপারটিকে হাস্যকর মনে হলেও এটি আসলে কাজ দেয়।
একটু ব্যাখ্যা করি...
তুমি তাকে ভুলে যেতে চাও ; রয়েল হাটের সামনে দিয়ে যাবার সময় হঠাৎ তাকে মনে পড়ে গেল। তার সাথে এক সময় প্রচুর আসা হত। সেখানে ২৫০ এমএলএর পেপসির গল্প আছে। তুমি যদি এই চিন্তাটাকে প্রশ্রয় দাও তাহলে আরও অনেক কিছু মনে পড়বে...
মনে পড়বে এখানে একদিন তোমার জন্মদিনের কেক কাটা হয়েছিল। ফেরার সময় বৃষ্টি ছিল; তাকে ছাতার নিচে রেখে তুমি ভিজেছিলে। দুজন মানুষ একসাথে হাঁটছে ;একজন ভিজছে অন্যজন ভেজা হাতটি ধরে হাঁটছে...
এই পর্যায় এসে তোমার ভেতরে এক ধরনের দীর্ঘশ্বাস জন্ম নিবে। রিকশা ঠিক করছিলে তুমি ; জানা ছিল না পাশের মানুষটি জীবন ঠিক বসে আছে।
বুকের বাম দিকে ব্যাথা করবে; শার্টের বোতাম খুলে দিলে একটু বাতাস লাগবে। সেই বাতাসে চামড়া ঠাণ্ডা হয় ; স্মৃতিরা ঠাণ্ডা হয় না। ট্রাকের টায়ার চলে গেলে এইরকম ব্যাথা হয় নাকি ? কে জানে ?
আবেগকে অস্বীকার করতে বলছি না; আমি শুধু বলছি প্রশ্রয় দিবে না। একদম না। রয়েল হাটের সামনে দিয়ে যাবার সময় হঠাৎ তার কথা মনে এলে পাশের মানুষটির সাথে রাজনৈতিক আলাপ কর। পরীক্ষা বিষয়ক কথা বল।
এতে লাভ কী ? ঠিকই তো আবার মনে পড়বে ?? পড়ুক... যতবার মনে পড়বে ততবার এইকাজ করবে। একশবার... দুইশ বার... দশ হাজার বার... ? একসময় দেখবে আর মনে পড়ছে না।
মনে পড়লেও কোন দীর্ঘশ্বাস থাকবে না। দীর্ঘশ্বাস খুব খারাপ জিনিস। আমি মানুষের যে কোন টাইপ দীর্ঘশ্বাসকেই খুব ভয় পাই।
মনে পড়া আর ভুলে যাওয়া এক কথা না। যেদিন তার কথা মনে পড়ার পর কোন দীর্ঘশ্বাস জন্ম নিবে না ; সেদিন বুঝবে ভুল মানুষটিকে তুমি সত্যি সত্যি ভুলে গেছো.. !!
আমাদের জীবনের সব থেকে বড় ট্র্যাজেডি হল - প্রাসঙ্গিক বিষয় গুলো একদিন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায়... অপ্রাসঙ্গিক গুলো হয় প্রাসঙ্গিক।
No comments:
Post a Comment