আমি একটি পাখি, একদিন উড়তে উড়তে এসেছিলাম তোমাদের
এই নগরে। যেদিন ওরা সবার মুখের ভাষা কেড়ে নেওয়ার
পায়তারা করেছিলো, সেদিন বড্ড বেশি সাধ হয়েছিলো বাংলায়
কথা বলার।
সালাম, বরকত, রফিক সফিক, জব্বারের
কানে কানে ইচ্ছের কথা জানাতেই ঘাতক বুলেটকে পরাজিত
করে সিক্ত করলো মাতের ভাষাকে,
রঞ্জিত হওয়া থেকে
বাদ পড়েনি সেদিনের সেই পিচঢালা কালো রাস্তাটিও।
ছোপ ছোপ রক্ত লাগা সেই পিচ ঢালা রাস্তা ধরে
উড়তে উড়তে শাষনের নামে শোষন দেখে সেদিনও
বড্ড সাধ হয়েছিলো স্বাধীন আকাশে ডানা মেলবার।
পেতে ইচ্ছে করেছিলো একটি স্বাধীন পতাকা। সেদিনের
সেই সাধ হয়েছিলো সাড়ে সাতকোটি বাঙ্গালীর স্বর।
ছিলো না অস্ত্র,
ছিলো না গোলাবারুদ, যেটা ছিলো সেটা
শুধুমাত্র ইচ্ছেশক্তি আর নিজের মায়ের অধিকার রক্ষার
চেতনা।
দুশমনের বুকে বজ্র হেনে তারা জ্বালালো
চেতনার দীপ্ত মশাল,
২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জত
আর ৩০ লক্ষের রক্তে লাল হয়ে যাওয়া
৫৬ হাজার বর্গমাইলে হলো নতুন সুর্যোদয়,
ধুসর রাত্রি শেষে এসেছিলো ন্তুন ডোর।
দেশ নামে মা পেয়েছিলো নতুন পরিচয়,
নতুন নাম।
তাকে সবাই জানলো “বাংলাদেশ” নামে।
পাখি হয়ে আজ বড্ড বেশী জানতে ইচ্ছে করছে
কখনো কি ভেবেছো কেমন রেখেছো তোমাদের
“বাংলাদেশ” নামের এই মা কে ???
মায়ের প্রতি নিজের দায়িত্বটুকু পালন
করেছো কি যথাযথ ভাবে??
কখনো কি ভেবেছিলে _
যদি আমরা রাখি ভালো
তবেই থাকবে ভালো বাংলাদেশ !!!!!!
ভালোবাসা মানে দায়িত্ববোধ, ভালোবাসা মানেই
স্যাক্রিফাইস। চলো সবাই – দেশকে একবার
মায়ের মত ভালোবেসে দেখি- কেমন থাকে
বাংলাদেশ।
No comments:
Post a Comment